মাধবীলতার ঈশ্বর

ডাঃ গোলাম রেজা

কোন এক বিভ্রান্ত শহরের নর্দমায়

বেড়ে ওঠা এক শান্ত মাধবীলতা;

তার হৃদয়ের যন্ত্রণায় অসংখ্য প্রজাপতি

খোলস ছেড়ে আকাশে উড়ে গেছে।

ভোর রাতের কোন অন্ধকারে সে যখন

ঈশ্বরের প্রতি অভিযোগ করে চলেছে

সেই ধূসর কুয়াশার শহরে একাকী

ঈশ্বর তখন অট্টালিকার চার দেওয়ালে বন্দী।

ঈশ্বর বুঝি নর্দমায় থাকেন না?

মাধবীলতার বুকের ভিতর এক ঈশ্বর থাকেন,

আর এক ঈশ্বর তার মস্তিষ্কে।

মাধবীলতার চোখের অন্ধকার মনিতে এক ঈশ্বর থাকেন,

আর এক ঈশ্বর আকাশের কোলে অট্টালিকায়।

এক ঈশ্বর মিশে থাকেন বাতাসে,

রোজ পাওয়া যায় তাকে অবহেলায়।

আর এক ঈশ্বর পাওয়ার তাগিদে

তাকে তার সব সন্তান বিসর্জন দিতে হয়।

বুঝলে শিশির -

আমাদের সকলের ভিতর একটি

মাধবীলতা জন্ম নিয়েছে, আদিম কাল থেকে

আমরা সকলেই হৃদয়ের ঈশ্বর ছেড়ে

মাথার ঈশ্বর খুঁজি।

ভাবা যায় ?

ভ ঙ্গু র

সুকান্ত দে

কোনওদিন বলিনি

স্লিভলেস ব্লাউজে

তোমার লতিয়ে ওঠা হাত দেখার পর

মৃণাল শব্দটা

প্রকট হয়েছিল বেদ মন্ত্রের মতো

বিশ্বাস করো মৌদি

চল্লিশের পর আর বয়স বাড়েনা

তিরিশের দিকে হাঁটে

তোমার এপ্রিলে জন্ম আমার নভেম্বরে

আজ থেকে ঠিক

৫ বছর ৯ মাস ২১ দিন পর

আমাদের বয়স হবে সমান-সমান

সেদিন প্রমান করে দেবো

তোমার ওই হাত একটা জবাবী খাম

বাহু স্পর্শ করা মাত্রই ফুটে উঠবে

মিছরির দানার মতো অক্ষর

হ্যা, আমি অহরহ মিথ্যে বলি

এর আগেও এই তত্ত্ব শুনেছে অন্তত দশজন

বিশ্বাস করেনি

অথচ তাদের প্রতিবিম্বরা

লাল এবং গোল টিপ

আয়নার ফ্রেমে লাগিয়ে রেখে

বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল

লালমাটির কাঁকুড়ে পথে

যেখানে ঝরে পড়া বকুলের গন্ধ

বুনে দেয়

সহজিয়া আখর

হৃদযন্ত্রের কানায় কানায় মধু ভরে দেয়

একতারার বোল